Bangla Shasya Bima Payment : ঝড় বৃষ্টির কারণে কৃষকদের যদি কোনো ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে তাহলে রাজ্যে সরকারের তরফ থেকে সেই কৃষকদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে।
![]() |
Bangla Shasya Bima |
এইবার কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অর্থাৎ ফসলের ক্ষতি হয়েছে ঝড় বৃষ্টির কারণে সেইসব কৃষকদের আর্থিক সাহায্য করলো নবান্ন। গতবছর ঘূর্ণি ঝড় এবং বৃষ্টির কারণে প্রায় কয়েক লক্ষ কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হয়েছিল। তাই নবান্ন থেকে বাংলার কৃষকদের সাহায্য প্রদান করা হলো।
Bangla Shasya Bima New Update
কতো কোটি টাকা নবান্নের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে
দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় প্রচুর পরিমানে ঝড় বৃষ্টির কারণে ধান চাষের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবং দামোদর ভেলি কর্পোরেশন থেকে জল ছাড়ার কারণে বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি এইসব জেলায় প্রচুর পরিমানে ধান চাষের ক্ষতি হয়েছিল
সারাদেশের মধ্যে আমাদের পচিমবঙ্গে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমানে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছিল। তাই ক্ষতি গ্রস্ত চাষীদের চিহ্নিত করে নবান্নের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে
নবান্নে কিন্তু শনিবারে বৈঠক হয় আমাদের রাজের সচিব মনোজ প্রান্তের নেতৃত্বে সেখানে কিন্তু পচিমবঙ্গের সরকারি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং যেসব কৃষক রা বাংলা শস্য বীমায় নাম নথিভুক্ত করছিলেন তাঁদের কাজটা কতো দূর এগিয়ে আছে সেই রিপোর্ট গুলো দেখানো হয়
তো রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা হয় বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে এখনো মোট ৭১ লক্ষ ৯৮ হাজার কৃষকের নাম নথিভুক্ত করা আছে। এবং ১২ লক্ষ ১৩ হাজার আলু চাষী রয়েছে
২০১৯ সালে প্রথম রাজ্য সরকার বিএসবি (Bangla Shasya Bima) প্রকল্প শুরু করে। প্রথমদিকে, এই প্রকল্পের আওতায় আলু ও আখ ছাড়া অন্যান্য কৃষি পণ্য গুলোর জন্য কৃষকদের প্রিমিয়াম বাবদ কোনো অর্থ দিতে হতো না। তবে, গত বছরের বাজেট অনুযায়ী, আলু ও আখের প্রিমিয়াম বাবদ কৃষকদের যে অর্থ দিতে হতো, তা আর পরিশোধ করতে হবে না। ২০২৪-২৫ রবি ও বোরোর মৌসুম থেকে এই নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে, যার ফলে কৃষকরা প্রিমিয়ামের জন্য আর কোনো টাকা দিতে হবে না।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে বিএসবি (BSB Crop Insurance) প্রকল্পের জন্য ১০২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, যা পরবর্তী অর্থবর্ষে বাড়িয়ে ১১২৫ কোটি টাকা করা হয়। ২০২৫-২০২৬ সালের বাজেটে এই বরাদ্দ আরো বাড়িয়ে ১৩১৩ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএসবি প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে মোট ১ কোটি ১২ লাখ কৃষক ৩৫৬২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেয়েছেন, যার ফলে কৃষকরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট ও আনন্দিত।